যে ৫ টি দারুন এপস স্মার্টফোনে অতিব জরুরী এবং কার্যকরী

যে ৫ টি এপস ব্যাবহার করলে স্মার্টফোনকে আরো আধুনিক করে তুলতে পারবেন। এবং যেই এপস গুলো অনেক জনপ্রিয় ও কার্যকারী



আসসালামুয়ালাইকুম, স্বাগত সবাইকে আমার ৪ নম্বর ব্লগ পোস্টে।বর্তমান সময়ে, দৈনন্দিন জীবনে এন্ড্রয়েড ফোন যেন আমাদের বাহুডোরে মিশে রয়েছে। প্রতিদিনকার জীবনব্যবস্থা, প্রতিদিন রুটিন মাফিক কাজ ছাড়াও আমরা কারণে-অকারণে মোবাইলে কত সময় ব্যয় করি। বলা চলে আজকালকার সময়ে অধিকাংশ মানুষের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে ছোট-বড় কিংবা যেকোন বয়সী হোক না কেন মোবাইল ফোন ছাড়া যেন জীবনটা অচল। আর অধিখাংশ মানুষ বর্তমানে ফেসবুক, ইম্টা, ইউটিউব এপস সহ হাতে গোনা কয়েকটি এপস ছাড়া আর কোন এপস ই ব্যাবহার করে না, কিন্তু  বর্তমান  প্রতিদিনের ব্যবহার্য স্মার্টফোন দিয়ে নানান ধরনের কাজের জন্য বিশ্বের নানান স্থানের প্রোগ্রামার গান হাজার হাজার অ্যাপস তৈরি করে আসছেন যা আমরা অনেকেই অপ্রোয়জনীয় মনে করও৷ অনেক ক্ষেত্রে অনেক এপস ই ইন্সটল করি কিন্তু অধিকাংশ অ্যাপসগুলি অকারণেই ইন্সটল করে রাখি,  আর তার কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। 



একটা জরিপ থেকে বলা যায় অধিকাংশ মানুষ স্মার্টফোনট ব্যবহার করে কিন্তু তাদের স্মার্টফোনের ইন্সটল করে রাখা অধিকাংশ অ্যাপ সম্পর্কে তারা জানেই না।আর কি কি এপসগুলো মোবাইলের কোন কোন কাজে দরকার পড়ে সেই সম্পর্কেও তারা কখনো ভেবে দেখেনি। 



আপনি আপনার হাতের মুঠোয় করে আপনার ফোনটি নিয়ে ঘুরছেন অথবা পকেটে নিয়ে ঘুরছেন কখনো হয়তো আপনি জানার চেষ্টা করেননি মোবাইল কিনে মোবাইলে ইন্সটল করার অ্যাপস গুলোর কাজ কি। প্রয়োজনের তাগিদে অনেককে শুধুমাত্র কথা বলার জন্য স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন তবে আপনাকে মোবাইলের কিছু জিনিস অবশ্যই জানতে হবে যা জানলে আপনি আপনার দৈনন্দিন মোবাইল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারবেন 


এবং আপনার আগ্রহ হবে মোবাইল সম্পর্কে এমন কিছু জানতে যে সমস্ত অ্যাপস ইন্টারনেটে রয়েছে যা আপনার দৈনন্দিন কাজে অনেকটা সহায়ক হবে। 



ইন্টারনেট জগতে এমন এমন অ্যাপস রয়েছে যা সম্পর্কে অনেক মানুষ জানে না অথচ অধিকাংশ অ্যাপস গুলো খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকরী যা আপনি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার জীবনকে সমৃদ্ধশীল করতে পারবেন। 


আজকের পোষ্টে সেসব অ্যাপস এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি অ্যাপস এর কথা উল্লেখ করব যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই প্রয়োজন এবং এগুলো খুব কম মানুষই ব্যবহার করে। 


হয়তোবা আপনি এই এপসগুলো জানার পরে আপনার ব্যবহার করার ইচ্ছা হবে। তো জেনে নেয়া যাক এই পাঁচটি অ্যাপস 



১. DirectChat

Direct Chat Apk


এই অ্যাপসটি আপনি ব্যবহার না করা পর্যন্ত এর কার্যকারীতা সম্পর্কে কোনো ধারণাই করতে পারবেন না। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড থাকার প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। কিন্তু, ব্যস্ততার কারণে বা অন্য যে কারণেই হোক না কেন অনেক সময় আমরা সেইসব সোশ্যাল অ্যাপসের নোটিফিকেশন বা জরুরী কোনো ম্যাসেজ থেকে বাদ পরে যাই। এই অ্যাপস আপনাকে উপরোক্ত সমস্যাটির এক নির্ভেজাল সমাধান দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।




২. YourHour

Your Hour



বর্তমানে আমরা এতোটাই মোবাইল আসক্ত যে, আমাদের মূল্যবান সময়গুলো আমরা মোবাইলের মাধ্যমেই কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করছি তা ঠিক বুঝে উঠছে পারি না। মোবাইল হাতে নিলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় যে কোন দিক দিয়ে চলে যায় তা যেন আমরা বুঝতেই পারি না। এই অ্যাপসের সাহায্য আপনি আপনার প্রতিদিনের মোবাইল ঘাটাঘাটির সময় তালিকা পেয়ে যাবেন। সেই সাথে কোন অ্যাপসে কতটুকু সময় ব্যয় করেছেন তারও একটি নমুনা হিসাব পেয়ে যাবেন। 



৩. Lock My Phone

Lock My Phone apk



মোবাইল ফোনের আশক্তি কমানোর তাগিদে এর চেয়ে ভালো অ্যাপস আমি আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাই নি। অথবা, বলতে পারেন খোঁজার চেষ্টাও করি নি। নিজের ইচ্ছেমত টাইম সেট করে দিয়ে আপনি মোবাইলকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। যার মধ্যে আপনি মেবাইলকে ইচ্ছে করলেও ব্যাবহার করতে পারবেন না৷তাই অ্যাপস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটুখানি সাহসিকতার পরিচয় দিতে হবে।



৪. Money Lover




 দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেক হিসেব করে  চলতে হয়। আর আমার মনে হয় হিসেব ছাড়া কোনো মানুষই দুনিয়ায় চলতে পারে না। প্রতিদিন হোক বা মাসিক আয় হোক, ব্যায় তো প্রতিদিন কিছু না কিছু থাকেই৷  আর কত টাকা খরছ করলাম, কোন খাতে ব্যায় করলাম তা নির্নয় খুবিই জরুরী জীবনে টিকে থাকার জন্য, তাই তো আপনাকে এই এপস এর কথা বলা, আপনার পুরো মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব এই অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই নির্নয় করে  নিতে পারবেন। 



৫.Greenify 



প্রতিদিনের ব্যাবহার্য এমন বিভিন্ন অ্যাপস রয়েছে যা আপনার অগোচরে ব্যাকগ্রাউন্ডে রুটিন মাফিক চলতে থাকে। যার ফলে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জও তুলনামূলক একটু বেশিই খরচ হয়। একিই করানে আপনার ফোনের স্পিড স্লো হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অতিরক্ত ডাটা চার্জ হতে পারে।। অতিরিক্ত এপস গুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকলে মোবাইল তো ল্যাগ করার ই কথা৷ যদিও মোবাইল যগৎ এ অক্টা কোর প্রসেসর দিয়ে অধিক পরিমান এপস ব্যাকগ্রাউন্ডে রানিং থাকে। আর তাই এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছামতো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান সমস্ত অ্যাপসকে নিজের খেয়ালখুশি মতো পরিচালনা করে ব্যাটারির চার্জ কিছুটা সেভিংস করতে পারবেন সাথে মোবাইলের ভারসাম্য ও রক্ষা করতে পারবেন। 

 
shwon

হাই, আমি মোহাম্মদ শফিক, ভালোলাগা থেকে লেখা লেখি শুরু করি। তারপর নিত্য নতুন প্রযুক্তিগত সমাধান জানার চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করি। আমি একদম বিগেইনার ব্লগার, ইউটিউবার এবং একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কর্মরত

Post a Comment

Previous Post Next Post